জিজ্ঞাসাবাদে ‘স্পর্শকাতর’ তথ্য দিয়েছেন শিপ্রা: র‍্যাব

ডেইলি বাংলাদেশ ◑

পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ‘স্পর্শকাতর’ তথ্য দিয়েছেন সিনহার তথ্যচিত্র নির্মাণ কাজের সহযোগী শিপ্রা রানী দেবনাথ।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

আশিক বিল্লাহ বলেন, শিপ্রা একটি স্পর্শকাতর কথা বলেছেন। তা হলো- এটা তার জীবনের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। জীবনের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও তিনি বিচার দেখে যেতে চান। প্রয়োজনে ন্যায় বিচারের স্বার্থে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।

তিনি বলেন, যেকোনো ঘটনা তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সাক্ষী। তেমনই সিনহা নিহতের ঘটনায় সিফাত ও শিপ্রা অন্যতম সাক্ষী। বর্তমানে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সে কারণে তাদের বিশদভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুতই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে।

ঘটনার সময় উধাও হওয়া সিনহার ল্যাপটপ ও ক্যামেরার বিষয়ে র‍্যাব কী করবে- জানতে চাইলে আশিক বিল্লাহ বলেন, গণমাধ্যমে ল্যাপটপ ও ক্যামেরার বিষয়ে জানতে পেরেছি। এসব জিনিস আলামত হিসেবে দেখানো হয়নি। তবে এই ব্যাপারে সিফাত ও শিপ্রাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারপর পুলিশের যারা ওই ঘটনার দিন সিজারলিস্ট করেছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

তিনি বলেন, এলিট ফোর্স হিসেবে র‍্যাব গণমানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে সে হিসেবে এই মামলাটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত হয়ে তদন্ত করবে। মামলার অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করা। পাশাপাশি কী কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে র‍্যাব কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, সদ্যই প্রত্যাহার হওয়া টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দলাল রক্ষিত এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সিফাত এবং শিপ্রাকে তদন্তকারী কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করছেন- তদন্তের শুরুতে সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তাই মূল অভিযুক্তদের শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।